সাবধান এই ৩ লক্ষণ মানে আপনি করো না আক্রান্ত

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহামারিতে রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী ভাই রাস বা কোভিড-১৯। এরই মধ্যে এই ভাই রাসের কারণে সারা বিশ্বে ঝরে গেছে কয়েক লক্ষ প্রাণ। সম্প্রতি বাংলাদেশেও তাণ্ডব চালাচ্ছে ভাই রাস। মহামারিতে রূপ নেওয়া এই ভাই রাসের ব্যাপারে সম্প্রতি একটি মেডিকেল জার্নালে ৩টি লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ শুরু হয়েছে কি না।

প্রথমত, যদি আপনার শরীরে করো না নিজের ভয়াল থাবা বসায় তবে প্রথম ৫ দিন আপনার কাশির সঙ্গে শুকনো কফ থাকবে।

দ্বিতীয়ত, শরীরে হঠাৎ করেই তীব্র জ্বর আসবে। আবার সেই জ্বর সহজে নামতেও চাইবে না।

তৃতীয়ত, জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হবে। এতে সংক্রমণ ফুসফুসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠাসহ নানা সমস্যার দেখা দেবে শরীরে। সেই সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা এবং সর্দি থাকবে।

কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে?

* কিছুক্ষণ পরপর ভালো করে সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
* হাঁচি-কাশির সময় অবশ্যই রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
* অধিকতর সতর্কতায় অসুস্থ ব্যক্তি বা বয়স্ক ও শিশুদের এড়িয়ে চলুন।

ভয়াল গ্রাসের মাঝে যদি সর্দি-কাশি হয়?
বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে শুধু গোসল করলেই চলবে না। এর সাথে সারাদিন হালকা গরম পানি খান। গলায় ব্যথা বা সর্দি-কাশির সম্ভাবনা দেখা দিলে তো এই রুটিন চালু করতেই হবে। একই সঙ্গে ভিটামিন সি খাওয়ার উপরেও জোর দিন। এ ক্ষেত্রে লেবু, আমলকী, পেয়ারায় আপনি প্রচুর ভিটামিন সি পাবেন।

সর্দি-কাশিতে ভালো ফল পেতে আদা দিয়ে কালো চা খাওয়া বা লবঙ্গ, আদা, গোলমরিচ, তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন। তবে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় তাজা শাক-সবজি, ফল, বাদাম ইত্যাদি রাখুন।

যদি সর্দি-কাশি হয় তবে বাইরে ঘোরাফেরা না করে বাড়িতে থাকুন, বিশ্রাম নিন। এটা যেকোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধেই শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আপনাকে সাহায্য করবে।

বাড়ির সবার থেকে কয়েক দিন একটু দূরে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। যারা অসুস্থ রোগীর সেবার কাজ করছেন, তারাও একটু দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।